কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার বাসুরচর গ্রামের এডভোকেট হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩১) এর ঝুলন্ত লাশ রাজধানী ঢাকার ভাড়াটিয়া বাসা থেকে উদ্ধার করেছে কলা বাগান থানা পুলিশ। এডভোকেট হাবিব বাসুরচর গ্রামের আমিন কাসেমের একমাত্র পুত্র।
১৫ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুরে রাজধানীর কাঠালবাগান এলাকার স্কুল স্ট্রিট রোডের ১১/৩ নম্বর বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে তার সহকর্মীরা তাকে মোবাইল ফোনে না পেয়ে বাসায় খোজ করতে গিয়ে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান। পরে কলাবাগান থানায় এ ঘটনাটি অবহিত করলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে মৃতের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, মৃত হাবিব কাঠালবাগান এলাকার স্কুল স্ট্রিট রোডের ১১/৩ বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি বিগত ২০২৩ সাল থেকে ঢাকা হাইকোর্টে ঢাকা বারের সভাপতি এডভোকেট মিজানুর রহমান মামুনের সাথে জুনিয়র আইনজীবি হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। গত বছরের আগস্টে আওয়ামীলীগের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনের ভাই আওয়ামীপন্থী এডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন আত্মগোপন চলে যাওয়ায় তার চলমান মামলাসমূহ এডভোকেট হাবিবুল্লাহ পরিচালনা করে আসছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মসজিদের সামনে মরহুমের প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার মরহুমের গ্রামের বাড়ি বাসুরচর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। এডভোকেট হাবিবের সহকর্মী ও ঘনিষ্ট বন্ধু এডভোকেট জাফরুল্লাহ সুমনের নিকট মৃত্যুর কারণ মেয়ে ঘটিত বা অন্য কোনও কারণে হতে পারে কিনা তা জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রেম ঘটিত হতেও পারে, তবে ময়না তদন্ত শেষে আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। অন্যদিকে হাবিবের পিতা-মাতা এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবী করেন।